পিটিভি বাংলা রিপোর্টার :
দীর্ঘ ২৭ দিন চিকিৎসা শেষে সাংবাদিক সুজনকে মেডিক্যাল হতে রিলিজ দিয়েছে
আরও ৬ মাস অধিক সময় লাগবে
স্বাভাবিক হতে।
মানিকগঞ্জে গত ৪ আগস্ট
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এটিএন বাংলার মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি স্থানীয় দৈনিক টেলিগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক সম্পাদক পরিষদের সভাপতি
শহিদুল ইসলাম সুজন আন্দোলনকারীদের সম্মুখে থাকায়
হামলার শিকার হন, এতে তার বাম পা ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে দীর্ঘ এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আজ
পহেলা সেপ্টেম্বর বিকালে নিজ বাসায়
নিয়ে এসেছে।
গত ৪ আগষ্ট ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ মানরা এলাকায় ছাত্র-জনতা রাস্তা অপরাধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে কিছু দুষ্কৃতিকারীরা তাকে পেছন থেকে অতির্কিত ভাবে হামলা করে। এক পর্যায়ে বাম পা ভেঙ্গে গেলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে । বৈষম্য বিরোধী শীক্ষার্থীরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে,
এরপরে সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ মালেক স্বপনের প্রয়াত পিতা কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে
শেষ ২ সপ্তাহ মুন্নু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন সহ সার্বিক চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা উন্নত হওয়ার পরে
চিকিৎসক তাকে রিলিজ করে দেন।
আহত সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম সুজন এটিএন বাংলার মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক টেলিগ্ৰাম পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক । মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভূমি অফিস লেনের মৃত শামসুদ্দীন আহমেদর ছেলে। দৈনিক আজকালের খবর ও দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম সুমনের বড় ভাই।
আহত সুজনের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম সুমন জানায় সদর হাসপাতাল থেকে অপারেশনের জন্য কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে অপারেশনে করা সম্ভম না হওয়ায় মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে অপারেশন করানো হয়েছে। সে মুন্নু মেডিকেলে চিকৎসাধীন ছিলো।
অপারেশন ভাল ভাবে হয়েছে, ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন অনেকটা ভাল।
মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের রেজিষ্টার ডাঃ মিনিরুজ্জান মানিক জানায় পায়ের অপারেশন শেষে তার অবস্থা এখন ভালর দিকে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিকভাবে হাঁটা চলাফেরা করতে আরো ৬/৭ মাস লাগবে।