সিংগাইর পৌরসভার কাউন্সিলরদের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ।
চলমান রাজনৈতিক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানাবিধ কার্যক্রম চলছে।
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেয়রদের অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও সিংগাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিতিতে সিংগাইর সহকারী কমিশনার ভূমি মাসিক কর্মসূচি দিয়ে
দায়িত্ব পালন করে আসছে। সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচিত চেকিং পাওয়ারে থাকা সকলকেই অপসারণ করা হয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সহ
অনেকে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
এ শূন্য স্থান প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালন করলেও সিংগাইর পৌরসভার কাউন্সিলর কার্যক্রম বন্ধ রহিয়াছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে জেলা পরিষদের সদস্য ও কাউন্সিলরদের
অপসারণ করা হয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়,স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর শাখা -১
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা কর্তৃক অফিস আদেশ যথাযথ পৌর কার্যালয়ে
কমিটি গঠন পূর্বক কার্য পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
স্থানীয় সরকার ( পৌরসভা) ( সংশোধন)
অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ৪২ ক (২)
অনুযায়ী কোন সদর উপজেলার সদরে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১। প্রশাসক – পৌরসভা সভাপতি
২। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা -সদস্য,
৩। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সদস্য
৪। উপজেলা প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ প্রকৌশল অধিদপ্তর, সদস্য।
৫। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সদস্য।
৬। উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার/ উপ সহকারী কৃষি অফিসার।
উপরোক্ত ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পৌরসভার
কার্য পরিচালনা করবেন।
মন্ত্রণালয় থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ ঘটিকায় উপ সচিব মোঃ মাহবুবুর আলম
স্বাক্ষরিত আদেশ হতে জানা যায়।
দীর্ঘ ১২ দিন যাবৎ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বহুজন
চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
সিংগাইর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের তাওজ হোসেন শাওন জানায়
আমার নাগরিক সনদ এর শুধু একটা কাউন্সিলর এর স্বাক্ষর প্রয়োজন,
আমি জরুরী ভাবে একটি পাসপোর্ট বানাতে হবে।
গত ২৬ তারিখ থেকে আজ ৮ অক্টোবর পর্যন্ত
কেন সেবা বা কার্যক্রম নেই
এ বিষয়ে পৌরসভার উচ্চমান অফিস সহকারী
সাইদুর রহমান কে জিগ্যেসা করিলে
তিনি জানান অফিস আদেশ পেয়েছি
কিন্তু বর্তমান প্রশাসক হিসেবে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু
কমিটির সদস্যদের ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব বন্টন করে দিচ্ছে না।
আজ সিংগাইর পৌরসভায় মিটিং আহবান করে ছিলেন। আজই দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু অন্য কাজে বিজি থাকায়
মিটিং বাতিল করা হয়েছে।
পিটিভি বাংলার প্রতিবেদন কালে এখনও জানা যায়নি কবে নাগাদ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসুকে সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য এফ এম রিপন আক্তার ফজলু জিগ্যেসা করিলে তিনি জানান দায়িত্ব গ্রহণ করেনি অপেক্ষা করতে হবে।