সিংগাইরে শিক্ষিকার দুর্ব্যবহারে ক্লাস বর্জন

Photo of author

By Akash Khan

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে সহকারী শিক্ষিকা আকলিমা আক্তারের দুর্ব্যবহারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই স্কুলের শিক্ষার্থী অভিভাবকরা গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সঙ্গে ওই শিক্ষিকার অন্যত্র বদলী চেয়ে ক্লাস বর্জন অব্যাহত রেখেছেন তারা। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে সদ্য যোগদানকারী সহকারী শিক্ষিকা আকলিমা আক্তার গত ১৩ মে প্রাক প্রাথমিকের শিশু শ্রেণিতে ক্লাস নিতে যান। এ সময় শ্রেণিকক্ষে বসে থাকা মায়েদের দেখে তিনি চটে যান এবং তাদেরকে বের করে দেন। শিক্ষিকার এমন অসৌজন্যমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অভিভাবকরা শ্রেণি কক্ষ ত্যাগ করেন। ভয় পেয়ে শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে এবং স্কুল থেকে বের হয়ে মায়েদের কাছে চলে যায়। এতে ওই শিক্ষক আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আবারো অভিভাবকদের সঙ্গে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং তাদেরকে অপদস্ত করেন। বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে অভিভাবকরা মিলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে অবগত করেন। কোনো সুরাহা না পেয়ে কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে এবং পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে শিক্ষিকা আকলিমা আক্তারের অন্যত্র বদলীর জোর দাবীসহ ক্লাস বর্জন করেন অভিভাবকরা। এ ছাড়া ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পূর্বের কর্মস্থলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে একাধিক শিক্ষার্থী স্কুল থেকে চলে যায় বলে ও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। শিক্ষার্থী অভিভাবক রিমা সুলতানা, শ্রাবণী আক্তার, রিক্তা আক্তার বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার বদলীসহ কোনো সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা বাচ্চাদের নিয়ে ক্লাসে যাব না । বাচ্চারা ভয় পাচ্ছে। তাছাড়া নিরাপদ ও মনে করছি না। অভিযুক্ত শিক্ষিকা আকলিমা আক্তার বলেন, শ্রেণিকক্ষে বাচ্চাদের সাথে অভিভাবকদের থাকার নিয়ম নাই। আমি তাদেরকে শুধু বাইরে যেতে বলেছিলাম। প্রধান শিক্ষক বাঁশীনাথ মন্ডলকে স্কুলে গিয়ে পাওয়া যায়নি, মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুকুল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুলের প্রাণ। শিক্ষক অভিভাবকদের সাথে শিক্ষিকা অসদাচরণ করে থাকলে তার শাস্তি হবে। এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাস কুমার বসু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

Leave a Comment