মানিকগঞ্জ পৌরসভার চার কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪৭ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভাকে এসব বিল পরিশোধের তাগিদ দিয়েও বকেয়া বিল আদায় করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। তাই বাধ্য হয়েই তাদের ৪৩টি সংযোগের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে পৌর এলাকার সড়কবাতির সংযোগসহ আরও বেশ কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
এদিকে, সকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী। অপরদিকে, যথা সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা না হলে পানির জন্য দুর্ভোগে পড়তে হবে কয়েক লাখ বাসিন্দাকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মানিকগঞ্জ পৌর সুপার মার্কেট, বাসস্ট্যান্ড পৌরবাজার, পানি শোধনাগার, পানি সরবরাহ, অফিসে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। অপরদিকে, পৌর সুপার মার্কেটে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক থাকায় সেখানে ভর্তি থাকা রোগী ও স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় পানি শোধানাগার বন্ধ রয়েছে। এতে করে বিভিন্ন এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
মানিকগঞ্জ পৌর সুপার মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি পরিতোষ ধর জানান, আমরা এই মার্কেটের প্রতিটা ব্যবসায়ী প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল প্রতি মাসেই পরিশোধ করি। তবুও আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আমাদের মার্কেটে বিদ্যুৎ নেই। পরে জানতে পারলাম এই মার্কেটের মেইন মিটারের বিল বকেয়া আছে। তাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এই মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এই দায় আমাদের না, পৌরসভার। তাদের এই গাফিলতির জন্য আমরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার বিষয়টি স্বীকার করে মানিকগঞ্জ পৌরসভা প্যানেল মেয়র-২ তছলিম মিয়া জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে পৌরসভার ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪৭ টাকা বকেয়া আছে সেটা ঠিক। আমরা যেমন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তেমনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসও। বকেয়ার একটা অংশ মেয়র অসুস্থ থাকার কারণে সেটা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। আমরা তাদের কাছে কিছুদিন সময় চেয়েও পাইনি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মানিকগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান, পৌরসভার কাছে আমাদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে চার কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪৭ টাকা। এই বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য বারবার নোটিশ করা সত্ত্বেও বিল প্রদানে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।