
সিংগাইর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর ( বিপিএম পিপিএম) এর কান্ডে বেকায়দায় চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহসভাপতি রোজিনা বেগম। থানার এজাহার সূত্রে ও রোজিনা মেম্বার এর পক্ষ থেকে জানা যায় গত ৩০ ডিসেম্বর চর আটিপাড়ার মারামারির ঘটনায় ৫ জানুয়ারি মামলা রুজু করা হয়েছে।
দনু মিয়া বাদী হয়ে বিপ্লব ও তার ছোট ভাই লিমন(২০) পিতা ইয়ারুল হোসেন এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিলে মামলাটি তদন্তের জন্য শান্তিপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাব- ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন এর নিকট পাঠিয়ে দেয়। এস আই নুরুল আমিন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য রোজিনা বেগমকে মিমাংসার কথা জানিয়ে আসামি পক্ষকে ১৩ জানুয়ারি থানায় নিয়ে আসতে বলেন।
রোজিনা বিবাদী পক্ষকে এস আই নুরুল আমিন এর রেফারেন্স দিয়ে সিংগাইর থানায় শালিসে বসতে বলেন। রোজিনা মেম্বার এর এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে এজাহারভুক্ত ২ আসামিসহ সিংগাইর থানায় ওসি’র রুমে নিয়ে আসে। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা এস আই নুরুল আমিন, অত্র এলাকার হাসান,আলাল, মজিবুর, দরবেশ ও জেলা পরিষদের সদস্য জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক এফ এম রিপন আক্তার ফজলু তৃতীয় পক্ষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলের সামনে ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর হুকুম দেয় আসামি বিপ্লব ও তার ছোট ভাই লিমনকে থানার আটকখানায় নিয়ে যাও। তারপরের দিন ওদেরকে কোর্টে প্রেরণ করেন। এইভাবে মিমাংসার কথা বলে সকলের উপস্থিতিতে আসামীদের জেলে পাঠানোর বিষয়টি মানতে পারেনি বিবাদীর পরিবার। তাদের অভিযোগ রোজিনা বেগম কেন থানায় এভাবে ডেকে নিয়ে থানায় ধরিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয় বিপ্লব হোসেন এর কারাবন্দী জীবন যখন দীর্ঘায়ু হয় তখন রোজিনাকে আসামীর পরিবার বহুবার ফোন দিয়ে দোষারোপ করতে থাকে।
রোজিনা বেগম আবার এস আই নুরুল আমিনকে দোষারোপ করতে দেখা যায়। রোজিনা বেগম পৃথিবী প্রতিদিন কে ফোন দিয়ে জানান ওসি ও এসআই নুরুল আমিন কেমন কাজটি করলেন। আমি এখন বেকায়দায় আছি। এই প্রতিবেদন লেখার কিছুক্ষণ আগে রোজিনা বেগম জানান বিপ্লব এর জামিন হয়েছে ২ দিন আগে। জামিন মঞ্জুর হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আরও জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে আমার এখন খারাপ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। শান্তিপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর নুরুল আমিনকে জিগ্যেসাবাদের জন্য ফোনে পাওয়া যায়নি, এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরকে জিগ্যেসা করিলে তিনি জানান ৩২৬ ধারার আসামীকে থানায় পেয়েছি তাই চালান দিয়েছি, এস আই নুরুল আমিন কৌশল ব্যবহার করেছে, রোজিনা মেম্বার জানতেন না মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।